Tomake Chai ...
M4A•Episode-Home
Manage episode 377236284 series 3411765
Inhalt bereitgestellt von Srijan Kundu. Alle Podcast-Inhalte, einschließlich Episoden, Grafiken und Podcast-Beschreibungen, werden direkt von Srijan Kundu oder seinem Podcast-Plattformpartner hochgeladen und bereitgestellt. Wenn Sie glauben, dass jemand Ihr urheberrechtlich geschütztes Werk ohne Ihre Erlaubnis nutzt, können Sie dem hier beschriebenen Verfahren folgen https://de.player.fm/legal.
Na Chahile Jare Paoa Jay চা লাগবে ? আরে চা ছাড়া আমাদের চলে নাকি ? ট্রেনের জার্নি হোক বা অফিসের সিরিয়াস মিটিং, সকালে ঘুম ঘুম ভাব কাটাতেই হোক বা সন্ধেবেলা টিভিতে শাশুড়ি বৌ এর ঝগড়া দেখার সময় - চা লাগবেই, অতিথি এলে তো কথাই নেই এবং এটার জন্য কাউকে কিছু বলতেও হয় না, এতটাই আমাদের অভ্যেসে ঢুকে গেছে। অথচ, আজ ভাবলে অবাক লাগবে, এটা কিন্তু আমাদের acquired taste, চা খাওয়ার অভ্যেস আমাদের বেশ নতুন। ব্রিটিশ সাহেব এবং কিছু দেশি বাবুর বাইরে মাস স্কেলে চা খাওয়া শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে। এই এপিসোডটা কালীদার চায়ের দোকানে হলে বেশি ভালো হত। দিল্লীতে চায়ের দোকান নেই এমন নয়। যা আছে তার সাথেই মানিয়ে চলছি। চায়ের সাথে একদল মানুষের দুঃখের, কষ্টের একটা গল্প আছে, সেটা বলব আজ, তবে এপিসোড পুরোটা শুনতে হবে। কথা দিচ্ছি - আপনার কাপের চা ঠান্ডা হওয়ার আগেই এপিসোড শেষ হয়ে যাবে। চা তাড়াতাড়ি শেষ করা নিয়ে একটা মজার জিনিস মনে পড়ল - আমার কলকাতার অফিসের এক সিনিয়র কলিগকে এত দ্রুত গরম চা শেষ করতে দেখেছি, যে একদিন তাকে মজা করে বলেছিলাম, কে কতদিন চাকরি করছে সেটা কে কত তাড়াতাড়ি গরম চা শেষ করছে সেটা দেখে বোঝা যায়। আসলে বাড়িতে চা যতটা আয়েস করে খাওয়া হয়, অফিসে কাজের তাড়ার জন্য সেটা কখনোই হয় না। এই এপিসোড শুরু হয়েছে ট্রেনে চা বিক্রির সাউন্ড দিয়ে, এর মধ্যে রাজনীতি খুজবেন না প্লিজ, ভারতবর্ষে জনগনের মধ্যে চায়ের জনপ্রিয়তা শুরু হয়েছিল ট্রেন স্টেশনের মধ্যে দিয়েই। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ভারতে বড় বড় স্টেশনে চায়ের দোকান লাগানোর ব্যবস্থা হয়েছিল ব্রিটিশ শাসকের তরফে, যাতে ভারতীয়রা চা সম্পর্কে জানতে পারে, চায়ের একটা পপুলারিটি তৈরী হয় । এই কাজে ব্রিটিশরা যে শুধু সফল হয়, তাই নয়, ভারতীয়রা নিজেদের মতন করে চায়ে আদা, এলাচ, গোলমরিচ এই সব ভারতীয় মশলাপাতি দিয়ে জিনিসটাকে অন্য একটা জায়গায় নিয়ে যায়। তবে ভারতের কেউ চা জিনিসটা জানত না এটা বললে ভুল হবে। আসামে দীর্ঘ্যদিন ধরেই চা পাতাকে কিন্তু রান্নার তরকারিতে ব্যবহার হত, তবে এখন যেভাবে চা খাওয়া হয় সেটা হত না। একটু পিছিয়ে যাই, প্রথম থেকেই বলি বরং। আমাদের আসাম থেকে শুরু করে চীনের দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্ত, যেটা ভারতের লাগোয়া, সেখানে বেশ কিছু জায়গাতেই চা পাতা পাওয়া যায় বহু বহু বছর ধরে। তবে চীনের পুঁথি পত্রে লেখা আছে, আজ থেকে হাজার পাঁচেক বছর আগে শেন নাং বলে একজন চীনের কোন এক রাজা ছিলেন। তিনি জল ফুটিয়ে খেতেন। তো তার সেই ফোটানো জলে চা পাতা উড়ে এসে পড়ে। চায়ের সুগন্ধ তাকে মুগ্ধ করে। তিনি রেগুলার চা খেতে শুরু করেন, তার পর চীনের পাবলিকের মধ্যে জনপ্রিয় হয়। এই রাজার গল্পটা রণবীর ব্রার KBC তে বলেছেন, ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ীর ফুড কাহিনীতেও এই ব্যাপারটা বলা আছে। পার্সোনালি এটা মানতে আমার একটু আপত্তি আছে কারন, হুট্ করে অচেনা অজানা কোন একটা পাতা এসে জলে পড়ল, আর রাজা সেটা খেয়ে ফেললেন - এই ব্যাপারটা আমার খুব একটা লজিক্যাল লাগে না। সেই সময় রাজাদের অনেক শত্রু থাকত, ফলে - কেউ বিষাক্ত কিছু দিল কিনা এরকম একটা ভয় ও থাকত। তাই রাজা নিজে প্রথমে তিতকুটে একটা পাতা দেওয়া জল খাবেন, সেটা খুব একটা মনে হয় না। আর একটু এগিয়ে আসি,ষোলশ খ্রিস্টাব্দ, পর্তুগীজ নাবিকরা সারা পৃথিবী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের হাত ধরে ইউরোপে পাড়ি দিল - চা। চা বলতে - খুব হাল্কা লিকারের চা, তাতে দুধ চিনি এসব তখনো পড়েনি। আরো কিছু বছর পরে ষোলশ বাষট্টি সালে পর্তুগিজ রাজকন্যা ক্যাথেরিন ব্রিগান্জার সাথে ইংল্যান্ডের রাজা চার্লস টু র বিয়ের পর ব্রিটেনে পা রাখল চা। রাজপরিবারের বৌমা চা খান, ফলে ব্রিটিশ এলিট ক্লাসে সহজেই জায়গা পেয়ে গেল সে। এরপর ব্রিটিশরা ভারতে এসে ঘাঁটি গাড়ে। এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির ব্যবসার একটা বড় অংশ জুড়ে থাকত চীন থেকে চা নিয়ে সেটা ইংল্যান্ডে পাঠানো। ততদিনে চা সাহেবদের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে এবং ট্রাডিশনাল চায়ের পাশাপাশি দুধ এবং চিনি দেওয়া ও শুরু হয়ে গেছে বলে জানা যাচ্ছে ।
…
continue reading
79 Episoden